শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ. প্রতিষ্ঠিত

শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ. প্রতিষ্ঠিত

তাবলীগ আন্দোলন জিহাদ

প্রথম পর্ব

মুহাম্মদ মামুনুল হক

সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামি মহলে একটি বিষয় নিয়ে খুব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও বিতর্ক লক্ষ করছি। বিষয়টি অনেক স্পর্শকাতরও বটে। দীর্ঘদিন ধরে দুচার কলম লিখবো- ভাবছিলাম। সময় সুযোগ হয়ে উঠছিলো না। অবশেষে সংক্ষিপ্ত পরিসরেই কিছু আলোকপাত করার উদ্দেশ্যে বক্ষমান লেখাটিতে হাত দিলাম। বর্র্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে মুসলিম জাতির জন্য জিহাদের বিধান কোন পর্যায়ে পড়ে? অথবা জিহাদের প্রক্রিয়া কী হওয়া বাঞ্ছনীয়? সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খোদ আলেম সমাজের মধ্যেই নানা মত ও বিভিন্ন বক্তব্য লক্ষ করা যায়।
নামকা ওয়াস্তের মুসলমানদের বাদ দিলেও যে সকল মুসলমান নিজেদের জীবনে আল্লাহর হুকুম মেনে চলার আবশ্যকতা অনুভব করে তারা মূলত তিনটি ধারায় বিভক্ত বা বিন্যস্ত হয়ে কাজ করছে।
১ম ধারা: একটি ব্যাপক জনগোষ্ঠী সারা মুসলিম বিশ্বেই এমন আছে যারা সকল বিরোধ ও সংঘাতমূলক পথ পরিহার করে শুধু নম্রÑকোমল ভাবে ইসলামের দাওয়াতি কাজে মনোনিবেশ করার পক্ষপাতি। ইতিবাচক ধারায় মানুষের ব্যক্তি সংশোধনের মাধ্যমে ইসলামের মিশনকে অগ্রসর করার চিন্তাই লালন করে এই ধারার মুসলমানগণ।
২য় ধারা: ইতিবাচক ধারায় দাওয়াতি কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের বিজয় প্রতিষ্ঠাকামী এরা। মুসলিম অধ্যুষিত জনপদগুলোতে ব্যাপক গণমানুষের সম্পৃক্ততায় সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অন্যায়Ñঅবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলে ইসলামি সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে এরা। তবে সশস্ত্র জিহাদের পথে পা বাড়ায় না।
৩য় ধারা: তারা বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটেও জিহাদের কোনো বিকল্প পথে চলতে প্রস্তুত নয়। মুসলিম দেশ অমুসলিম দেশ নির্বিশেষে সকল স্থানেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান জিহাদের পথেই আছে বলে তাদের বিশ্বাস। জিহাদ ছাড়া অন্য  কোনো পথে মুসলমানদের বিজয় আসতে পারে নাÑ এমন চিন্তার বলিষ্ঠ ধারকÑবাহক এই মহলটি।
প্রিয় পাঠক! উপরোক্ত তিনটি ধারার মধ্যে মূলত কোনো বিরোধ নেই। বরং সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিচার করলে উত্তম সমন্বয় সাধন সম্ভব। আজকের প্রেক্ষিতে এই সমন্বয়ের প্রয়োজনও অত্যধিক। সমন্বয়হীন প্রান্তিক চিন্তা জাতিয় জীবনে মুসলিম জাতির জন্য অনেক বিপর্যয় ডেকে আনছে। এই সেদিন ৫-৬ মে’ ১৩ ঢাকার শাপলা চত্বরে যে নতুন বালাকোট রচিত হলোÑ তা নিয়ে খোদ ইসলাম পন্থীদের মধ্যে নানা রকম মত ও দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ করেছি। কাউকে বলতে শুনেছি এই ধরনের কর্মসূচির কী দরকার ছিলো? এগুলো রাজনীতি। যারা আল্লাহর পথে চলে, এই ধরনের কাজে তাদের সম্পৃক্ত হওয়া উচিত নয়। আবার বিপরীতমুখি মনোভাবও দেখেছি। অনেকে বলছে সেদিন যদি কিছু মানুষ সশস্ত্র প্রস্তুতি নিয়ে শাপলা চত্বরে থাকতো, তাহলে একতরফা ভাবে মুসলমানদেরকে এভাবে হত্যা করতে পারতো না যৌথবাহিনী। কাজেই তাদের বক্তব্য হলোÑ আগামীতে মাঠে নামতে হলে অস্ত্র নিয়েই নামতে হবে। অস্ত্র ছাড়া নামলে শুধু মার খেতে হবে। আল্লাহর নবীর সৈনিকদেরকে এভাবে হত্যা করার পর জিহাদে ঝাপিয়ে পড়া মুসলমানদের জন্য ফরজ হয়ে গেছে। এমন নানা ভাবনার মধ্য দিয়ে আসলে সঠিক চিন্তা কোনটি তা নির্ধারণ করা সাধারণ মানুষের পক্ষে বড়ই দুস্কর। আর  তাই সম্পূর্ণ বিষয়টির ওপর ইসলামের মূলনীতির আলোকে একটা ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি লালন করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণের সুবিধার্থে প্রথমে জিহাদ সংক্রান্ত দুটি আলোচনা প্রয়োজন। জিহাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও ধাপে ধাপে জিহাদ ফরজ হওয়ার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট।
জিহাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও প্রাসঙ্গিকতাসহ জিহাদের উদ্দেশ্য আলোচনা করলে জিহাদের উদ্দেশ্যের একটি দীর্ঘ তালিকা প্রণীত হতে পারে। তবে কোরআন ও হাদিস পর্যালোচনা করে মৌলিকভাবে জিহাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসাবে দুটি বিষয়কে নির্ধারণ করা যায়।
এক. আল্লাহর বিধান তথা ইসলামের গৌরব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা।
দুই. কুফুর তথা খোদাদ্রহের প্রাবল্য খর্ব করা।
ইসলামি শরিয়তে জিহাদের মতো লড়াই সংঘাতের বিধান অন্তর্ভুক্ত থাকায় ইসলামের স্বভাবজাত দুশমনেরা বেশ সমালোচনামুখর হয়েছে। এবং ইসলামের মধ্যে সম্ভবত জিহাদ নিয়েই তাদের সমালোচনার মাত্রা সবচে বেশি। তাদের সমালোচনার মূল লক্ষ্যই হলো জিহাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে জিহাদের পবিত্র বিধানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
ইসলাম খুব সরল ও অকৃত্রিমভাবে মানুষকে বিশ্বাস শিক্ষা দিয়েছে যে, পৃথিবীটা হলো স্রষ্টার। পৃথিবীতে মানুষসহ যা কিছু আছে সবই সৃষ্টিকর্তার এখতিয়ারভুক্ত। সৃষ্টিকর্তা  মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই জগতের শান্তি শৃঙ্খলার জন্য বিধান-ব্যবস্থা দিয়েছেন। যুগের বিবর্তনে স্রষ্টার দেওয়া সর্বশেষ ও চূড়ান্ত ব্যবস্থার নামই হলো ইসলাম। সুতরাং একটা রাষ্ট্রের মধ্যে যেরূপ রাষ্ট্রপ্রণীত বিধিÑবিধানের গৌরব রক্ষা হওয়া এবং রাষ্ট্রদ্রোহ দমন হওয়া যৌক্তিক ও কল্যাণকর পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হয়, তদ্রুপ সৃষ্টি জগতে স্রষ্টার মর্যাদা রক্ষা পাওয়া ও খোদাদ্রোহ নির্মূল হওয়ার ব্যবস্থাও প্রশংসিত হতে বাধ্য। খোদাদ্রোহী কুফরি ব্যবস্থা প্রাবল্য নিয়ে  অধিষ্টিত থাকলে মানুষসহ সারা সৃষ্টিজগত তাদের স্রষ্টা প্রদত্ত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। আর তাই খোদার এই জগতে খোদাদ্রোহের আধিপত্য ও প্রাবল্য মেনে নেওয়া যায় না। সুতরাং স্রষ্টার বিধানের মর্যাদা রক্ষা করা ও খোদাদ্রোহের অধিপত্য খর্ব করা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত উদ্দেশ্য। আর এই সুমহান উদ্দেশ্য অর্জনের জন্যই জিহাদের বিধান দেওয়া হয়েছে। কাজেই ইসলামের জিহাদ অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ও সুমহান একটি বিধান।
জিহাদ ধাপে ধাপে ফরজ হয়েছে
জিহাদের হাকীকত উপলদ্ধি করতে চাইলে এবং জিহাদ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিতর্কের মীমাংসায় পৌঁছতে চাইলে ইসলামি শরিয়তে জিহাদের বিধান অর্ন্তভুক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপট ও প্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা জরুরি। জিহাদের প্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে প্রথমেই জানতে হবে যেÑ সকল তাগুত ও কুফুরের বিরুদ্ধে জিহাদের বিধান মহান আল্লাহ তায়ালা সূচনাতেই দেননি। বরং ধাপে ধাপে দিয়েছেন। ধাপগুলো নিুরূপ।
প্রথম ধাপ: জিহাদের বিধানের প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনায় দেখা যায়, শুরুতে ইসলামি শরিয়তে জিহাদের অনুমতি ছিলো না। বরং নির্দেশ ছিলো শত্র“দের জুলুম নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করা আর ধৈর্য্য ধারণ করার। কোনোরূপ পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি ছিলো না। আল্লাহর নবী সা. মক্কায় থাকাকালীন তের বছর জুড়েই এমন বিধান বলবৎ ছিলো। এই সময়ে আল্লাহর হুকুম ছিলো ‘আপনাকে যে আদেশ দেওয়া হয় তা আপনি প্রকাশ্যে প্রচার করুন। আর মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ-বিগ্রহকে এড়িয়ে চলুন।’ (সুরা হিজর : ৯৪) ‘আপনি ক্ষমার নীতি অবলম্বন করুন। সৎ কাজের আদেশ দিন আর মুর্খ লোকদের এড়িয়ে চলুন।’ (সুরা আরাফ : ১৯৯)
মক্কি জিন্দেগিতে নবীজি সা. তার প্রিয় সাহাবিদের বলতেন ‘আমাকে ক্ষমা করতে বলা হয়েছে। সুতরাং তোমরা যুদ্ধে লিপ্ত হয়ো না। (নাসায়ি-বাইহাকি)
ইমাম কুরতুবি রহ. লিখেছেন ‘আল্লাহর নবীকে মক্কায় থাকাকালীন জিহাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
দ্বিতীয় ধাপ: সুদীর্ঘ তের বছর একতরফা ভাবে জালেম কাফের গোষ্ঠীর সবধরনের নির্যাতন ও নিগ্রহের শিকার হয়ে নবীজি সা. মদিনায় হিজরত করলেন। মুসলমানদের জন্য নিরাপদ একটা আশ্রয়ের ব্যবস্থা হলো। কিছু শক্তিও সঞ্চিত হলো। তখন মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের জিহাদের অনুমতি দিলেন। জিহাদ করতে বাধ্য করলেন না। বরং জিহাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে শুধু অনুমতি দিলেন। যারা স্বেচ্ছায় জিহাদ করতে আগ্রহী কেবলমাত্র তারাই জিহাদ করবে। এমন বিধান সম্বলিত আয়াত অবতীর্ণ হলো। ‘যারা আক্রান্ত হয় তাদেরকে (পাল্টা আক্রমণ তথা জিহাদের) অনুমতি দেওয়া হলো। যেহেতু তারা অত্যাচারিত। নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম।’ (সুরা হজ : ৩৯)
সুরা হজের এই আয়াতের অনুকূলে ইমাদুদ্দিন ইবনে কাসির রহ. লিখেছেন ‘অনেক পূর্বসূরীদের মতে এটিই হলো জিহাদের স্বপক্ষে অবতীর্ণ প্রথম আয়াত।
এভাবেই দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকার পর প্রথমেই সীমিত পর্যায়ে অর্থাৎ কাফেরদের দ্বারা মুসলমানগণ আক্রান্ত ও নির্যাতিত হওয়ার প্রেক্ষিতে স্বেচ্ছায় জিহাদ করেত ইচ্ছুকদেরকে জিহাদের অনুমতি প্রদান করা হলো।
তৃতীয় ধাপ: তৃতীয় ধাপে শুধু ঐচ্ছিক পর্যায়ের অনুমতি নয়। বরং কাফের জালেমদের দ্বারা মুসলিম জনপদ বা জনগোষ্ঠী আক্রান্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অব্যশ্যকীয় বিধান দেওয়া হলো। অর্থাৎ এখন আর জিহাদ ঐচ্ছিক বিধান রইল না। বরং আক্রান্ত হলে পাল্টা আক্রমন ও রুখে দেওয়ার নিমিত্তে জিহাদ করা ফরজ হয়ে গেল। এই পর্যায়ে পবিত্র কোরআন পাকের আয়াত অবতীর্ণ হলো। ‘যারা তোমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। আর সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা বাকারা : ১৯০)
চতুর্থ ধাপ: শুধু আক্রান্ত হওয়ার পরই নয় বরং আল্লাহর বিধানের বিজয় ও খোদাদ্রোহী শক্তির আধিপত্য ও প্রাবল্য খর্ব করার লক্ষে যেখানেই ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো আদর্শের বিজয় প্রতিষ্ঠিত থাকবে আল্লাহ তায়ালার সেই জমিনকে সেই হানাদারের কবল থেকে  মুক্ত করে সেখানে জিহাদ করাকে ফরজ করা হলো। জিহাদের মাধ্যমে খোদাদ্রোহী শক্তি অধ্যুষিত সকল ভূখণ্ডকে মুক্ত স্বাধীন করতে মুসলমানদের ওপর অবশ্যিক বিধান জারি করা হলো। সুরা তওবায় আল্লাহ তায়ালা বিস্তারিত হুকুম ঘোষণা করলেন। ৯ম হিজরি সনের হজ্বের প্রাক্কালে অবতীর্ন আল্লাহর এই হুকুম আল্লাহ ও তার নবী সা. এর পক্ষ থেকে আবু বকর সিদ্দিক রাযি. এর নেতৃত্বে আলী রাযি. হজ্বের সময় ঘেষণা করে শুনালেন।
‘সম্মানিত মাসগুলো (জিলকদ, জিলহজ্ব ও মুহাররম) শেষ হওয়ার পর খোদাদ্রোহী মুশরিকদেরকে যেখানে পাবে হত্যা করবে। তাদেরকে পাকড়াও করবে, আবদ্ধ করবে আর ওঁৎপেতে থাকবে  তাদের জন্য প্রতিটি ঘাটিতে।’ (সুরা তওবা:৫)
একই সুরায় আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ‘আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে না এবং আল্লাহ ও তার রাসুল সা. যা কিছু হারাম করেছেন সেগুলোকে হারাম মানে না এবং সত্য দ্বীন অনুসরণ করে না, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর যে পযর্ন্ত না তারা নত হয়ে জিযইয়া (কর) আদায় করে। (সুরা তওবা : ২৯)
আর সুরা আনফালের বক্তব্য তো আরও দ্বার্থহীন ‘আর তোমরা কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর যতক্ষন না ফিতনা নির্মূল হয়। এবং সম্পূর্ণ আল্লাহর আনুগত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। (সুরা আনফাল:৩৯)
ফিতনা অর্থ আল্লাহর বিধান পালনে প্রতিবন্ধকতা থাকা। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর যত বিধান আছে এই বিধান শতভাগ বাস্তবায়িত করার পথে সকল বাধাÑপ্রতিবন্ধকতা যতদিন সম্পূর্ণরূপে উৎখাত না হবে ততদিন এ কথা বলা যাবে না যে, ফিতনা নির্মূল হয়েছে। আর এটা সম্ভব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের মাধ্যমে। তাই সুরা আনফালের এই আয়াত দ্ব্যর্থহীনভাবে সারা পৃথিবীতে ইসলাম কায়েম না হওয়া পযর্ন্ত জিহাদ করাকে মুসলমানদের ওপর ফরজ করে দিয়েছে।